ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আবারো সেবাস্তিয়ান লেকর্নুকেই নিয়োগ দিয়েছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। লেকর্নুর পদত্যাগ করার চার দিন পর শুক্রবার (১০ অক্টোবর) তাকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। দেশটির মিত্র ও বিরোধী উভয় দলই আশা করেছিল, ব্যয়সাশ্রয়ী বাজেট নিয়ে কয়েক মাসের অচলাবস্থার অবসান ঘটাবে সরকারে নতুন কোনো মুখ আসবে। কিন্তু ম্যাক্রোঁ তার পরিবর্তে ৩৯ বছর বয়সী লেকর্নুকে পুনরায় নিয়োগ দিলেন।
প্রেসিডেন্ট ভবন এলিসি প্যালেস জানিয়েছে,সেবাস্তিয়ান লেকর্নুকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনোনীত করেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এবং তাকে সরকার গঠনের দায়িত্ব দিয়েছেন। গত বছর ম্যাক্রোঁ ক্ষমতা আরো পাকাপোক্ত করার আশায় আগাম নির্বাচন দেন। এরপর থেকেই ফ্রান্স রাজনৈতিক অচলাবস্থায় আটকে আছে। নির্বাচনে ডানপন্থীদের আসন বেড়ে যাওয়ায় ঝুলন্ত সংসদ সৃষ্টি হয়েছে।
এলিসি প্যালেসের ঘোষণার পর লেকর্নু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে বলেন, তিনি দায়িত্ব বোধ থেকেই প্রধানমন্ত্রীর পদ গ্রহণ করেছেন। তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই রাজনৈতিক সংকটের অবসান ঘটাতে হবে।’ তিনি বছরের শেষ নাগাদ ফ্রান্সকে একটি বাজেট দেয়ার জন্য ‘সম্ভাব্য সবকিছু’ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, সরকারি অর্থ পুনরুদ্ধার ‘আমাদের ভবিষ্যতের জন্য একটি অগ্রাধিকার’।
এদিকে লেকর্নুর পুনর্নিয়োগে ব্যাপক ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। অতি-ডানপন্থী ন্যাশনাল র্যালি পার্টির নেতা জর্ডান বারডেলা একে ‘বাজে রসিকতা’ বলে অভিহিত করেন এবং অবিলম্বে নতুন মন্ত্রিসভাকে বহিষ্কারের জন্য ভোট দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। অন্যদিকে, কট্টর বামপন্থীদের এক মুখপাত্র বলেন, লেকর্নুর পুনর্নিয়োগ ফরাসি জনগণের প্রতি এক বিশাল অবজ্ঞা। সংসদের মধ্যমপন্থী দল সোশ্যালিস্ট পার্টি বলছে, তাদের সাথে লেকর্নুর কোনো সমঝোতা হয়নি।
সূত্র : এএফপি