ভারতে বাংলাদেশের ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলের পেছনের কারণ নিয়ে নানান আলোচনার-সমালোচনার মধ্যেই বিষয়টি নিয়ে নিজেদের ব্যাখ্যা তুলে ধরেছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। রাজনৈতিক কোনো কারণে নয়, বরং নিজ দেশের স্বার্থ রক্ষার্থেই বাংলাদেশের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভারতের কর্মকর্তারা।
‘২০২০ সালে বাংলাদেশকে এই সুবিধা দেয়া হয়েছিল। এর ফলে আমাদের বিমানবন্দর এবং অন্য বন্দরগুলোতে দীর্ঘদিন ধরে তীব্র জট তৈরি হয়েছিল,’ বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বলেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল। এতে সময় বেশি লাগার পাশাপাশি খরচ বেড়ে যাওয়ায় আমাদের রফতানি বাধাগ্রস্ত হচ্ছিল এবং বন্দরে আটকে পড়া পণ্যের পরিমাণ বাড়ছিল। সেজন্য ২০২৫ সালের আটই এপ্রিল থেকে এই সুবিধা প্রত্যাহার করা হয়েছে,’ বলেন জয়সওয়াল।
তবে ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল হলেও নেপাল ও ভুটানে বাংলাদেশের পণ্য রফতানি আগের মতোই চলবে বলে জানিয়েছে ভারত। ভারতীয় ভূখণ্ড দিয়ে নেপাল ও ভুটানে বাংলাদেশের যে পণ্য রফতানি হয়, এই পদক্ষেপ সেটার উপর প্রভাব ফেলবে না,’ বলেছেন জয়সওয়াল।
সূত্র : বিবিসি