রাজধানী ঢাকা থেকে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) শহীদুল হক ও আবদুল্লাহ আল মামুনকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) দিবাগত রাতে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান (অতিরিক্ত কমিশনার) রেজাউল করিম মল্লিক।
তিনি বলেন, সাবেক আইজিপি শহীদুল হক ও আবদুল্লাহ আল মামুন ডিবি হেফাজতে রয়েছেন। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
সাবেক এ দুই আইজিপির বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। তবে কোন মামলায় তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, সে বিষয়ে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। ওই সরকারে আইজিপির দায়িত্বে ছিলেন চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন। সরকার পতনের পরদিন তার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করা হয়।
অন্যদিকে শহীদুল হক ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আইজিপি হিসেবে নিয়োগ পান। তিনি ২০১৮ সালের ৩১ জানুয়ারি অবসরে যান।
শহীদুল হক ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার মাধ্যমে ১৯৮৬ সালে সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করেন।
তার বাড়ি শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার নরবালাখানা গ্রামে। তার ছোট ভাই ইসমাইল হক জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও নড়িয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। আরেক ভাই নুরুল হক ব্যাপারী নড়িয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য। গত ৭ জানুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শহীদুল হক শরীয়তপুর-২ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কিনেছিলেন।
চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বাংলাদেশ পুলিশের ৩১তম (সদ্য সাবেক) মহাপরিদর্শক ছিলেন। ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে তাকে বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক হিসাবে নিযুক্ত করা হয়। এরপূর্বে তিনি র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ানের (র্যাব) মহাপরিচালক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) প্রধান ছিলেন।
চৌধুরী মামুনের বাড়ি সুনামগঞ্জ জেলার শাল্লা উপজেলার শ্রীহাইল গ্রামে।
চৌধুরী মামুন ২০২৩ সালের ৯ জানুয়ারি অবসরে যাওয়ার কথা থাকলেও তাকে পুনরায় দেড় বছরের জন্য চুক্তিতে নিয়োগ দেয় পতিত আওয়ামী লীগ সরকার। এরপর গত জুলাইয়ের ৫ তারিখে পুনরায় তাকে আরো এক বছরের জন্য দ্বিতীয় দফায় চুক্তিতে নিয়োগ দেয়া হয়।