রাজধানীর সচিবালয় এলাকায় আনসার সদস্যদের সাথে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ চলাকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ গুরুতর আহত হয়েছেন। তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ইমারজেন্সি সেন্টারে (ওসেক) নেয়া হয়েছে।
রোববার (২৫ আগস্ট) রাতে তাকে ঢামেকে হাসপাতালে নেয়া হয়। ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, সচিবালয়ে অবরুদ্ধ থাকায় হঠাৎ তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। জরুরি বিভাগের ওসেকে তাকে অক্সিজেন লাগিয়ে রাখা হয়েছে। তবে চিকিৎসক জানিয়েছেন, তার বড় ধরনের কোনো সমস্যা হয়নি।
এদিকে সচিবালয় এলাকায় আনসার সদস্যদের সাথে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে ৩০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। পরে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া খেয়ে আনসার সদস্যরা সচিবালয় ছেড়ে পালিয়ে যায়। এর আগে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
রোববার (২৫ আগস্ট) রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে সচিবালয়ের সামনে থেকে সরে যায় তারা। এর আগে, রাত ৯টা ২০ মিনিটে এই সংঘর্ষ শুরু হয়। আহতদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে বলে জানায় শিক্ষার্থীরা।
এর আগে, এক ফেসবুক পোস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘সবাই রাজুতে আসেন। স্বৈরাচারীশক্তি আনসার হয়ে ফিরে আসতে চাচ্ছে। দাবি মানার পরও আমাদের সবাইকে সচিবালয়ে আটকে রাখা হয়েছে।’
দুই সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলমকে আটক রাখার খবরে সচিবালয়ের উদ্দেশে রওনা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ সময় আনসার সদস্যরা শিক্ষার্থীদের ধাওয়া করে এবং কয়েকজনকে লাঠিপেটা করে। পরে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের একপর্যায়ে আনসার সদস্যরা কয়েক রাউন্ড গুলি করেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ছাত্ররা মিছিল নিয়ে সচিবালয়ের দিকে গেলে আনসার সদস্যরা তাদের ওপর ইট-পাটকেল মারতে থাকে। একপর্যায়ে শিক্ষার্থীদের ওপর আনসার সদস্যরা গুলিও করে। এতে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে।
তারা আরো জানায়, ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী মিছিল নিয়ে সচিবালয়ের দিকে যায়। তারপর তারা আনসার সদস্যদের ধাওয়া দেয়। একপর্যায়ে আনসার সদস্যরা সচিবালয়ের সামনে থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।