সোনালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান জিয়াউল হাসান সিদ্দিকীর পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়েছে। এ ছাড়া গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান এ কে এম সাইফুল মজিদ এবং পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের চেয়ারম্যান আকরাম আল হোসেন ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শেখ মো. জামিনুর রহমানের নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে। এসব নিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ আজ মঙ্গলবার চারটি আলাদা প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
সোনালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান জিয়াউল হাসান সিদ্দিকী গতকাল সোমবার পদত্যাগ করেন। আজ তা গ্রহণ করে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। জিয়াউল হাসান সিদ্দিকী ২০১৯ সালে প্রথম সোনালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পান। ২০২২ সালের আগস্টে তাঁকে পুনর্নিয়োগ দেওয়া হয়। তিনি ২০০৬ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর ছিলেন। মাঝখানে কিছু সময় তিনি বেক্সিমকো গ্রুপের উপদেষ্টা ছিলেন।
যোগাযোগ করা হলে জিয়াউল হাসান সিদ্দিকী প্রথম আলোকে জানান, তিনি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন। অন্য কোথাও যোগ দিচ্ছেন কি না, জানতে চাইলে বলেন, না। বয়স হয়ে গেছে ৭২ বছর। তাই অবসরে থাকবেন।
এদিকে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ আজ গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান এ কে এম সাইফুল মজিদের নিয়োগ চুক্তি বাতিল করেছে। সাইফুল মজিদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের (আইবিএ) শিক্ষক। তাঁকে ২০২০ সালের ১৬ মার্চ প্রথম এ পদে নিয়োগ দেয় সরকার। দুই বছ নিরের জন্যয়োগ দেওয়ার পর তাঁকে দুই বছর করে আরও দুইবার পুনর্নিয়োগ দেওয়া হয়। আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ তাঁকে সর্বশেষ গত এপ্রিলে পুনর্নিয়োগ দেয়।
এ ছাড়া আজ পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের চেয়ারম্যান আকরাম আল হোসেনের নিয়োগও বাতিল করা হয়েছে। ব্যাংকটিতে সরকার মনোনীত পরিচালক মোহাম্মদ মহিউদ্দিনকে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করতে বলা হয়েছে। এ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ মো. জামিনুর রহমানের পুনর্নিয়োগও আজ বাতিল করা হয়েছে। তাঁদের নিয়োগ বাতিলের বিষয়ে আজ আলাদা প্রজ্ঞাপন জারি করেছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ।
সূত্র. প্রথম আলো