উপমহাদশের গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে পরিচিত ভারতের ৭৮তম স্বাধীনতা দিবসে ১৫ই আগষ্ট ২০২৪ ভারত সহ দেশে বিদেশে ভারতীয়রা উৎসবমুখর পরিবেশে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করলেও লন্ডনে দেখা যায় এর বিপরিত চিত্র।
দিনটিকে কালো দিবস আখ্যায়িত করে প্রবাসী শিখরা সেন্ট্রেল লন্ডনের ভারতীয় হাইকমিশন ইন্ডিয়া হাউজের সামনে ওয়াল্ড শিখ পার্লামেন্ট এর আয়োজনে কয়েকটি শিখ সংগঠন স্বাধীনতার দাবিতে সমাবেশ করেছে। লন্ডন সময় বেলা ১ঘটিকায় সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সকাল থেকেই ব্রিটেনের বিভিন্ন প্রান্থ থেকে খালিস্তানি পতাকা হাতে নারি-পুরুষ সহ শিখরা সমবেত হয় ইন্ডিয়ান হাইকমিশনের সামনে। এসময় তারা ”খালিস্তান জিন্দাবদ”’ ’’ ‘’ইন্ডিয়া আউট পাঞ্জাব‘‘ ইন্ডিয়া আউট ইত্যাদি শ্লোগান দেয়। সেই সাথে প্রতিবাদকারীরা বিভিন্ন ধরনের প্লেকার্ড প্রদর্শন করে।
শিখনেতারা বলেন সেই ১৯৪৭ সাল থেকেই শিখরা স্বাধীনতার দাবিতে আন্দোলন করে আসছে। ভারতের অর্থনীতিতে শিখরা বড় ভূমিকা পালন করলেও পাঞ্জাবকে ইচ্ছে করেই বঞ্চিত করা হয়েছে সকল দিক থেকে। এখনও দেশে বিদেশে শিখদের অত্যাচার করা হচ্ছে। কোন সরকারই শিখদের প্রতি ন্যায্য আচরন করে্নি। আজ থেকে ৪০ বছর পূর্বে শিখদের উপষনালয় স্বর্ণ মন্দিরে আক্রমন করে ধর্মীয় যাজক সহ অসংখ্য শিখকে হত্যা করা হয়েছে। যুগ যুগ ধরে পাঞ্জাবের কৃষকরা নিগৃহিত হচ্ছে। শুধু ভারত নয় বিদেশেও শিখ নেতাদের হত্যা করছে ভারতীয় গোয়েন্দা বাহিনী।
বক্তারা বলেন ভারত একটি টেররিষ্ট রাষ্ট্র এখানে মত প্রকাশের কোন স্বাধীনতা নেই, প্রতিবাদ করলেই নেমে আসে অত্যাচারের খড়গ। হত্যা করা হয় প্রতিবাদকারীদের। যদিও সাংবিধানিক ভাবে ভারত একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র , আসলে তা নয়। ধর্মনিরপেক্ষতার আড়ালে ভারতকে একটি হিন্দু রাষ্ট্রে পরিণত করা হয়েছে।
শুধু কাশ্মির বা পাঞ্জাবই নয় সমগ্র ভারতে অত্যাচিারিত হচ্ছে, মুসলিম, খৃষ্টান জৈন সহ মাইনরিটিরা। আসাম-মনিপুর-মিজরামেও নির্জাতন চালাচ্ছে ভারত সরকার। যেসব সংগঠন নিজ নিজ ব্যানার ও পতাকা হাতে অংশ নেয় সেগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘‘ওয়াল্ড শিখ পার্লামেন্ট ‘’ শিখ ফেডারেশন ইউকে’’ শিখ এ্যাসোসিয়েশন ইউকে, খালিস্তান মুভমেন্ট, সহ বেশ কয়েকটি সংগঠন।