হবিগঞ্জ শহরের চৌধুরী বাজার নুরুল হেরা জামে মসজিদে জুমার খুৎবায় মাওলানা ফুযায়েল আহমেদ মুমশাদ বলেছেন- মানুষের মাঝে শুধু ধর্মের কারণে কাউকে সংখ্যালঘু বা সংখ্যাগুরু আখ্যায়িত করার কোনো সুযোগ নেই। ইসলাম তা সমর্থন করে না। সবাই মানুষ, মানুষ হিসাবেই প্রত্যেককে বিচার করতে হবে।
ধর্মীয় কারনে কম সংখ্যক লোকদের কাউকে সংখ্যালঘু বলা এক ধরনের গালি। ভারতে সর্বপ্রথম সংখ্যালঘু হিসাবে মুসলমানদেরকে আখ্যায়িত করা হয়েছে। তা এখন বাংলাদেশেও বলা হচ্ছে। সমাজ ও রাষ্ট্রকে মানুষ হিসাবে যার যার প্রাপ্য দিতে হবে।
ইসলামের সোনালী যোগে কাউকে সংখ্যালঘু হিসাবে আখ্যায়িত করা হয়নি। এখন কেন বলা হচ্ছে? এক ধরনের ধর্মীয় বিভাজন তৈরীর জন্য, পায়দা লুটার জন্য, সমাজে অশান্তি সৃষ্টির জন্য এসব কথা বলা হচ্ছে। মাওলানা মুমশাদ বলেন- অন্য ধর্মের মানুষ বা অন্য প্রাণীর সাথে মুসলমানদের প্রার্থক্য হবে ঈমানের কারণে।
ঈমান হবে প্রার্থক্যের মাপকাঠি। সব প্রাণী খাবার খায়, অন্য ধর্মের মানুষও খাবার খায় কিন্তুমুসলমানদের খাবারের মধ্যে প্রার্থক্য আছে। আর সেটা হল- একজন মুসলমান খাবার গ্রহনের পূর্বে আল্লাহর নাম নিবে, খাবার শেষ হওয়ার পর শুকরিয়া আদায় করে দোয়া পড়বে।
অন্য প্রাণী বা অন্যান্য মানুষের ঘুমের সাথে মুসলমানের ঘুমের প্রার্থক্য থাকতে হবে, একইভাবে চলা ফেরায়, কথা বার্তায়, আচার আচরনে, ব্যবসা বানিজ্যে, লেনদেনে, ব্যক্তিগত জীবনে, পারিবারিক, সামাজিক, রাষ্ট্রীয় জীবনে অন্যান্য মানুষের সাথে মুসমানের প্রার্থক্য থাকতে হবে।
মাওলানা ফুযায়েল আহমেদ মুমশাদ হবিগঞ্জের শ্রদ্ধেয় ইসলামিক ব্যক্তিত্ব মরহুম আল্লামা তাফাজ্জুল হক সাহেবের নাতী। মাওলানা ফুযায়েল আহমেদ একজন কোরআনে হাফেজ। তিনি ইসলামের ইতিহাস নিয়ে উচ্চতর অধ্যয়ন করছেন।