হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচংয়ে সেনাবাহিনীর মেজর মাহি আহমেদ চৌধুরী বলেছেন, সম্প্রীতির বাংলাদেশে কোনো ধ্বংস জজ্ঞের ঠাঁই নেই। বানিয়াচং আজমিরীগঞ্জের কোথাও হিন্দু সম্প্রদায় আক্রান্ত হননি, বরং বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন ও বৈষম্যবিরুধী ছাত্র আন্দোলনকারীরা মন্দির উপসনালয়গুলো পালাক্রমে পাহারা দিচ্ছেন। বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১১ ঘটিকায় বানিয়াচং উপজেলা পরিষদ সভা কক্ষে বিশেষ আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, ৫ জানুয়ারি ছাত্রজনতার বিপ্লবের মাধ্যমে নুতন বাংলাদেশ পাওয়ার পর একশ্রেণীর লুটেরাগণ থানায় লুটপাট করেছেন, তাদের খোঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে। যারা আন্দোলনকারীদের গুলি করেছেন এবং দেশীয় ও আগ্নেয়াস্ত্রের মহড়া দিয়ে বানিয়াচংয়ে অশান্ত করেছেন তাদের কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।
সভায় বক্তব্য রাখেন, ক্যাপ্টেন নাঈমুল,বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন, ইউএনও মোঃ মাহবুবুর রহমান, এসিল্যান্ড, সেনা বাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার আতিকুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপির সভাপতি মজিবুল হোসাইন মারুফ, সাকেক আহ্বায়ক লুৎফুর রহমান, জামায়াতে ইসলামির আমির তাছলিম আলম, বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নকিব ফজলে রকিব মাখন, অধ্যক্ষ সামছুজ্জামান, মাওলানা মোবাশ্বির আহমেদ, জেলা ইমাম সমিতির সভাপতি মুফতি মাওলানা আতাউর রহমান, জমিয়তের সভাপতি মাওলানা মখলিছুর রহমান,বানিয়াচং উপজেলা প্রেসক্লাব সভাপতি এস এম খোকন,
বিএনপি নেতা সুহেল আহমেদ, তাতীদল নেতা ছাদিক আহমেদ, ছাত্রদলের সদস্য সচিব শরীফ ঠাকুর,মওদুদ বাবু চৌধুরীসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ। সমভায় পুলিশের অনুপস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখার জন্য ১৫ টি ইউনিয়নে সর্বদলীয় ভলেন্টিয়ার কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।