শেখ হাসিনার পতনের পর সারাদেশে অস্থিরতা ও সহিংসতার মধ্যে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের দেয়াল টপকে ২০৯ বন্দী পালিয়ে গেছেন। এ সময় নিরাপত্তা কর্মীদের গুলিতে ছয়জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
বুধবার বিকেলে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা বলেন, মঙ্গলবার দুপুরের দিকে কারা অভ্যন্তরে কিছু বন্দী মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে। পরে কয়েকজন কারারক্ষীকে জিম্মি করে মারধরও করা হয়। ‘বিদ্রোহ পরিস্থিতি সৃষ্টি করে’ দেয়াল টপকে বন্দীদের মধ্যে ২০৯ জন পালিয়ে গেছেন।
সুব্রত কুমার বালা আরো বলেন, কারারক্ষীরা প্রথমে তাদের থামানোর চেষ্টা করে। এ সময় তাদেরকেও মারধর করা হয়। পরে গুলি ছুঁড়তে বাধ্য হয়। এতে ছয়জন নিহত হয়। কয়েকজন কারারক্ষীও আহত হয়েছে।
তিনি বলেন, নরসিংদী কারাগার থেকে পালানো এক বন্দী হাইসিকিউরিটি কারাগারে রয়েছে। সারাদেশে এ ধরনের ঘটনা ঘটছে। কিন্তু কারাগার থেকে পালানোর বা মুক্তি দেয়ার সুযোগ নেই।
তিনি আরো বলেন, দুপুর প্রায় ২টায় সেনা সদস্যরা কারাগারে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় বন্দীরা দেওয়াল ভেঙ্গে পালিয়ে যায় বলে জানান তিনি। সোমবার থেকেই সেনাবাহিনী এ কারাগারে ছিল।
সুব্রত কুমার বালা বলেন, ওয়াল ভেঙ্গে ফেলে বন্দীরা। ওয়ালের ওপরের বিদ্যুতের পোল ভেঙ্গে মইয়ের মত বানায় তারা। তারপর পালিয়ে যায়। সিঁড়ির লোহার পাত ভেঙ্গে তারা মারধর করে কারারক্ষীদের।
নিহতদের লাশ গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর পর বিষয়টি জানা যায় বলে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা জানান।
সূত্র : বিবিসি