জাতিসঙ্ঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বলেছেন, বাংলাদেশে গুলি ব্যবহারের যে দৃশ্য আমরা দেখেছি, তার নিন্দা জানিয়েছি। বাংলাদেশ বা বিশ্বের যেকোনো দেশের সরকারকে জনগণের শান্তিপূর্ণ সমাবেশ এবং সাংবাদিকদের স্বাধীন ও নির্বিঘেœ কাজ করার অধিকার রক্ষা করা উচিত।
গতকাল নিউ ইয়র্কে জাতিসঙ্ঘ সদর দফতরে নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ডুজারিক এসব কথা বলেন। তাকে একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করেছিলেন, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে অন্তত তিনজন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। অনেককে গ্রেফতার করা হয়েছে। কেউ জানেন না তারা কোথায়।
এ ব্যাপারে আপনার প্রতিক্রিয়া কী?
মুখপাত্রকে আবারো প্রশ্ন করা হয়, বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর দমনপীড়ন অব্যাহত রয়েছে। এসব ঘটনা তদন্তে বাংলাদেশ সরকার কি জাতিসঙ্ঘের সহায়তা চেয়েছে? স্বাধীনতার ঘাটতিতে থাকা রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত প্রতিষ্ঠানের তদন্তে জাতিসঙ্ঘ কি সহায়তা করবে? নাকি জাতিসঙ্ঘ নিজস্ব তদন্তের প্রস্তাব দেবে?
জবাবে ডুজারিক বলেন, যেকোনো দেশের সরকার যেকোনো বিষয়ে সাহায্য চাইলে জাতিসঙ্ঘ অবশ্যই সব সময় তা করতে প্রস্তুত রয়েছে। কিভাবে এ সহায়তা সবচেয়ে ভালোভাবে করা যায়, তা জাতিসঙ্ঘ দেখে। এ ধরনের বিষয়ে স্বাধীন তদন্ত করার জন্য জাতিসঙ্ঘের লেজিসলেটিভ বডির অনুমতি প্রয়োজন হয়।
ব্রিফিংয়ের শুরুতে বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে বিবৃতিতে ডুজারিক বলেন, রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও সহিংসতার মধ্যেও বিষয়টি সবাইকে মনে করিয়ে দেয়া জরুরি যে বাংলাদেশে মানবিক সঙ্কট চলছে। ঘূর্ণিঝড় রিমালসহ বিভিন্ন জরুরি পরিস্থিতির শিকার মানুষদের জাতিসঙ্ঘ, জাতিসঙ্ঘের অংশীদাররা অব্যাহতভাবে সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে।
চলতি বছর ঘূর্ণিঝড় রিমালে এক কোটি ৩০ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি বলেন, ইন্টারনেট ও ব্যাংক বন্ধ, কারফিউয়ের মতো অপারেশনাল চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও জাতিসঙ্ঘের অংশীদাররা তাদের কাজ অব্যাহত রেখেছে। গত জুনে জাতিসঙ্ঘ, জাতিসঙ্ঘের অংশীদাররা ১২ লাখ মানুষকে সহায়তার জন্য আট কোটি ডলারের মানবিক সাড়া পরিকল্পনা চালু করেছে।
বিবৃতিতে ঘূর্ণিঝড় দুর্গত মানুষ ও মিয়ানমার থেকে কক্সবাজারে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মানবিক সহায়তার নানা তথ্য তুলে ধরে হয়।