বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সহিংসতায় বেশ কয়েকটি দেশ আলাদাভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করলেও এ সমস্যার স্থায়ী সমাধান চেয়ে যৌথভাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের কাছে চিঠি দিয়েছে ঢাকাস্থ ১৪টি বিদেশী মিশন।
বাংলাদেশের বন্ধুরাষ্ট্র হিসেবে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে এমন চিঠি পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেন এক কূটনীতিক।
তবে চিঠির বিষয়বস্তু সম্পর্কে কিছু জানাননি তিনি। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, স্পেন, নেদারল্যান্ডস, কানাডা, সুইজারল্যান্ড, সুইডেন, ডেনমার্ক, নরওয়ে ও অস্ট্রেলিয়ার মিশন থেকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে এই চিঠি পাঠানো হয়।
চিঠিতে প্রাণহানি, সম্পত্তি ধ্বংস, মানবাধিকার সুরক্ষা ও যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণের গুরুত্বের মতো বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়েছে বলে একটি কূটনৈতিক সূত্র জানায়।
এর আগে, সম্প্রতি এক বিবৃতিতে বাংলাদেশে বিক্ষোভের প্রেক্ষাপটে সহিংসতা ও প্রাণহানিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে ইইউ।
ইইউ বলেছে, আরো সহিংসতা এড়ানো এবং আইনের শাসন ও গণতান্ত্রিক স্বাধীনতার ভিত্তিতে যত দ্রুত সম্ভব পরিস্থিতির শান্তিপূর্ণ সমাধান খুঁজে বের করা অত্যাবশ্যক।
প্রাণহানি অগ্রহণযোগ্য উল্লেখ করে যুক্তরাজ্যও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
কানাডা তার সাম্প্রতিক বিবৃতিতে বলেছে, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় বাংলাদেশের জনগণ যে সহিংসতার শিকার হয়েছে তাতে তারা মর্মাহত।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘শান্তিপূর্ণ সমাধান ও মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের পাশাপাশি ভুক্তভোগী ও তাদের পরিবার এবং ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি আমরা সমবেদনা জানাই।’
ঢাকাস্থ কানাডিয়ান হাইকমিশনের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিচার ব্যবস্থাকে অবশ্যই গ্রেফতার হওয়াদের জন্য যথাযথ প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে হবে এবং এই দুঃখজনক ঘটনার জন্য দায়ীদের জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।
ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি বলেন, ঢাকায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা দেখে তিনি মর্মাহত এবং মেট্রোরেল স্টেশনের ক্ষয়ক্ষতি অত্যন্ত হৃদয়বিদারক।
ঢাকা এমআরটি পরিদর্শন শেষে নিজের ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে তিনি আরো বলেন, ‘২৪ জুলাই ঢাকার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা দেখে আমি হতবাক। বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত হিসেবে ঢাকা এমআরটির মারাত্মক ক্ষতিতে আমি বিশেষভাবে মর্মাহত। এটা আমার কাছে খুবই হৃদয়বিদারক মনে হয়েছে।’
বর্তমানে কারফিউ আরো শিথিল এবং সরকারি-বেসরকারি অফিস পুনরায় চালু হওয়ায় দেশে শান্তিপূর্ণ অবস্থা বিরাজ করছে।
সূত্র : ইউএনবি