বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন আজ। ২১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির এই নির্বাচনে ছয়জন স্বতন্ত্রসহ দুইটি প্যানেল থেকে ৪৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্যানেল দু’টি হলো মিশা-ডিপজল ও মাহমুদ কলি-নিপুণ।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, সকাল ৯টায় শিল্পী সমিতির কার্যালয়ে ভোটগ্রহণ শুরু হবে। মধ্যাহ্ন বিরতি দিয়ে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত চলবে এই ভোট। গণনা শেষে আজই ফলাফল প্রকাশ করা হবে।
এবার নির্বাচনে মোট ভোটার ৫৭১ জন। এর মধ্যে নতুন ভোটার হয়েছেন ৫০ জন। জায়েদ-মিশা প্যানেল ক্ষমতায় থাকাকালে অনেকের ভোটাধিকার বাতিল হয়েছিল। এরপর কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেল বিজয়ী হয়ে এসে উচ্চ আদালত থেকে ১০৩ জন ভোটাধিকার ফিরে পান। ধারণা করা হচ্ছে, নতুন ও ফিরে পাওয়া মিলে মোট ১৫৩ জনের ভোট এবারের নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে পারে। একটি প্যানেলের জিতে আসার ক্ষেত্রে সুবিধাও দিতে পারেন এসব ভোটার।
সরগরম এফডিসি : এবার প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্যানেলের মধ্যে একটিতে জোট বেঁধেছেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের দাপুটে দুই খল অভিনেতা মিশা সওদাগর ও মনোয়ার হোসেন ডিপজল। আরেক প্যানেলে তাদের সাথে লড়বেন সোনালি দিনের নায়ক মাহমুদ কলি ও নায়িকা নিপুণ আক্তার। মিশা-ডিপজল পরিষদের অন্যান্য পদের প্রার্থীরা হলেন- সহসভাপতি মাসুম পারভেজ রুবেল, ডি এ তায়েব, সহসাধারণ সম্পাদক আরমান, সাংগঠনিক সম্পাদক জয় চৌধুরী, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আলেকজান্ডার বো, দফতর ও প্রচার সম্পাদক জ্যাকি আলমগীর, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক ডন এবং কোষাধ্যক্ষ পদপ্রার্থী কমল। একই প্যানেল থেকে কার্যকরী পরিষদের সদস্য পদে নির্বাচন করছেন অভিনেত্রী সুচরিতা, রোজিনা, আলীরাজ, সুব্রত, দিলারা ইয়াসমিন, শাহনূর, নানা শাহ, রতœা কবির, চুন্নু, সাঞ্জু জন, ফিরোজ মিয়া।
মাহমুদ কলি-নিপুণ প্যানেলের অন্য প্রার্থীরা হলেন- সহসভাপতি পদে ড্যানি সিডাক ও অমিত হাসান, সহসাধারণ সম্পাদক বাপ্পি সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক অঞ্জনা রহমান, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মারুফ আকিব, দফতর ও প্রচার সম্পাদক কাবিলা, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক মামনুন হাসান ইমন ও কোষাধ্যক্ষ পদে অভিনেতা আজাদ খান। এ প্যানেলে কার্যকরী পরিষদের সদস্য পদের প্রার্থীরা হলেন- সুজাতা আজিম, নাদের চৌধুরী, পীরজাদা হারুন, পলি, জেসমিন আক্তার, তানভীর তনু, মো: সাইফুল, সাদিয়া মির্জা, সনি রহমান, হেলেনা জাহাঙ্গীর, সাইফ খান। এর আগে নির্বাচন কমিশনের তফসিলে প্রথমে ১৯ এপ্রিল ভোটের দিন ধার্য করা হয়।
কিন্তু ঈদুল ফিতরের ছুটির ফাঁদে তা পিছিয়ে ২৭ এপ্রিল করার দাবি তোলেন অনেকে। নির্বাচন কমিশন তাতে রাজিও হয়। কারণ ১৯ এপ্রিল ভোট হলে ছুটির পরে এসে প্রার্থীরা প্রচার চালানোর সময় পাবেন না। তা ছাড়া ছুটি কাটাতে যাওয়া অনেকে এত দ্রুত ঢাকায় ফিরে এসে ভোটও দিতে পারবেন না। কিন্তু মিশা-ডিপজল প্যানেলের দাবির মুখে নির্বাচন কমিশন ভোট পিছিয়ে দেয়া থেকে সরে আসে।