রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের ধরাভাঙ্গা নৌকা ঘাটের কাছে নুরুল ইসলাম ও খোকন মিয়ার জমিতে বালুর গদীতে ড্রেজারে বালি উত্তোলন ও কয়েক দিনের বৃষ্টির পানির তোড়ে মেঘনা নদীর তীরবর্তী বাঁধের খানিকটাতে ধস নামে। এতে স্থানিয় কতিপয় ব্যক্তিরা ফেসবুক লাইভে এসে মেঘনা নদীতে চলমান বালু মহালের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে। তারা অভিযোগ করেন বালু মহালের লোকদের নদী থেকে বালু উত্তোলনের কারনে বাঁধে ধস হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, একটি মহল সুপরিকল্পিতভাবে উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে অপ-প্রচার চালাচ্ছে বলে উপস্থিত এলাকাবাসী বলেন।
স্থানিয় বাসিন্দা মোঃ আব্বাস (৫০) বলেন, নুরুল ইসলাম মিয়ার গদীতে বালু উত্তোলনের সময় পানির তোড়ে বাঁধটি ভাঙ্গে। সাদেক মিয়া (৪০)জানান, একটি মহল চক্রান্ত করে বালু মহালের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছে মূল কারন হল ব্যক্তিগত জমিতে বালু তুলতে গিয়ে বাঁধটি ভাঙ্গে।
এছাড়া সাইদুল মিয়া (৪০), মোঃ আব্দুল হক (৪৫), আমানত উদ্দিন (৫৫) সহ স্থানিয় কয়েকজন বাসিন্দা জানান কয়েক দিনের বৃষ্টি ও বালুর গদীর পানির তোড়ে বাঁধটির প্রায় ২০ ফুট জায়গায় ধস হয়। পরে বালু মহালের কর্মীরা ইট দিয়ে বাঁধটি মেরামত করে।
বালু মহাল সংশ্লিষ্ট একজন (নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক) জানান, সরকারি বিধি মোতাবেক বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। মেয়াদও বেশি দিন নাই। বে-আইনি ভাবে মানুষের ক্ষতি করে কোন কাজ করা হচ্ছে না।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর ফরহাদ শামীম বলেন, নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। বালু মহালের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ প্রমানিত হলে সাথে সাথে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply