নবীগঞ্জ থানা পুলিশের অভিযানে ছিনতাইকৃত টমটমসহ ছিনতাইকারী চক্রের ৭ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গতকাল শনিবার ২৪ ফেব্রুয়ারী গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। এর আগে ২৩ ফেব্রুয়ারী শুক্রবার রাতব্যাপী জেলার বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গেফতার করা হয়। উক্ত ছিনতাই চক্রটি গ্রেফতার হওয়ায় জনমনে স্বস্তি এসেছে।
জানা যায়, গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে দৌলতপুর গ্রামের টমটম চালক রতন দাশ এর টমটমটি নবীগঞ্জ শহর হতে ১ জন ছিনতাইকারী যাত্রী সেজে ৮০ টাকা ভাড়ায় রিজার্ভ নিয়ে যায়। ছিনতাইকারী চক্রের বাকি সদস্যরা নবীগঞ্জ থানাধীন এনাতাবাদ গ্রামে একটি নির্জন স্থানে অবস্থান নেয়।
এসময় চালককে কৌশলে সেখানে নিয়ে হাত-পা বেঁধে মুখে কস্ট্রেপ বেঁধে টমটম গাড়ী ও চালকের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন সহ ছিনতাই করে নিয়ে চলে যায়। এ ঘটনায় রতন দাশ বাদী হয়ে নবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়েল করেন। এসআই সুমন মিয়াকে মামলার তদন্তভার দেয়া হয়।
তদন্তভার পাওয়ার পর ছিনতাইকারীদের গ্রেফতারে ও টমটম উদ্ধারে তৎপরতা বৃদ্ধি করেন তিনি। পরে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় এবং গোপন সূত্রের ভিত্তিতে শুক্রবার (২৩ ফেব্রুারী) সন্ধ্যায় ছিনতাই চক্রের সদস্য আসামী খাইরুল আহমদকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার রহস্যের জট খুলতে থাকে।
পরে নবীগঞ্জ থানার ওসি মোঃ মাসুক আলীর নেতৃত্বে একটি টিম উক্ত আসামীর দেওয়া তথ্য মতে অভিযান পরিচালনা করে একে একে ছিনতাই চক্রের ৬ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। ইতিমধ্যে আসামীরা ছিনতাইকৃত টমটমটি মাধবপুর থানা এলাকায় তাদের আরেক সহযোগীর নিকট বিক্রি করে ফেলে।
নবীগঞ্জ থানা পুলিশ গ্রেফতারকৃত আসামীকে নিয়ে রাতে মাধবপুর থানাধীন ধর্মঘর ইউনিয়নের রাজেন্দ্রপুর গ্রামে অভিযান করে টমটম গাড়ীটি তাদের সহযোগী ইব্রাহিম খলিল এর হেফাজত হতে উদ্ধার করেন।
প্রায় এক সপ্তাহ পূর্বে উক্ত চক্রের আরেক সহযোগীকে গ্রেফতার করে চালকের ছিনতাই যাওয়া মোবাইলটি উদ্ধার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, আসামীরা সকলেই ছিনতাইকারী চক্রের সদস্য। তারা ঘটনার কথা স্বীকার করেছে।
Leave a Reply