1. sm.khakon@gmail.com : bkantho :
সবজিতে স্বস্তি, দাম বেড়েছে ইলিশ-ব্রয়লারের - বাংলা কণ্ঠ নিউজ
শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০১:২৮ অপরাহ্ন

সবজিতে স্বস্তি, দাম বেড়েছে ইলিশ-ব্রয়লারের

Reporter Name
  • রবিবার, ২৫ নভেম্বর, ২০১৮
  • ৩৩ বার পড়া হয়েছে

শীতকালীন সবজিতে স্বস্তি দিলেও অস্বস্তি দিচ্ছে রুপালি ইলিশ ব্রয়লার মুরগির দাম। এক সপ্তাহ ব্যবধানে ইলিশের দাম হালিতে ৬শটাকা আর ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে পাঁচ টাকা বেড়েছে। তবে বাজারভেদে ১৫ থেকে ৪০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে শীতকালীন সব ধরনের সবজি

অপরিবর্তিত রয়েছে পেঁয়াজ, আদা, রসুন, আটা, তেল, চিনি, চাল, ডাল, ডিম, গরু খাসির মাংসের দাম। অধিকাংশ পণ্যের দাম নাগালের মধ্যে হওয়ায় এখন বেশ তৃপ্তি নিয়েই বাজার করছেন ক্রেতারা। ৩৫ দিন পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। সে সময়ে বাজারের পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তিত ক্রেতা বিক্রেতারা

শনিবার (২৪ নভেস্বর) সূত্রাপুর, শ্যামবাজার, রায়সাহেব বাজার, নয়াবাজার, দয়াগঞ্জবাজার, ধূপখোলা মাঠ, সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজারসহ রাজধানীর বেশকিছু কাঁচাবাজার ঘুরে ক্রেতা বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে

রাজধানীর বাজারগুলো ঘুরে দেখা যায়, বাজার প্রকার ভেদে প্রতিপিস ফুলকপি ১০ থেকে ২৫ টাকা, বাঁধাকপি ১০ থেকে ২০, শিম ৩০ থেকে ৪০, মূলা ২০, শালগম ৩০, লাউ প্রতি পিস ৩০ থেকে ৪০,পটল ২৫৪০, কচুর লতি ৩০ থেকে ৪০, পাকা টমেটো ৪০ থেকে ৬০, কাঁচামরিচ ৩০, বরবটি ২০ থেকে ৩০, পেঁপে ১৫ থেকে ২০, নতুন আলু ৫০৬০, পুরান আলু ২৮, বেগুন ৩০৫০, করলা ৩০৪০, উস্তা ৪০৫০, ঝিঙ্গা ৪০, ধুন্দল ৩০, চিচিংগা (কহি) ৪০, কাঁকরোল ৬০, কচু প্রতি পিস ৪০৫০, কচুরমুখী ৩০৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে

গাজর আগের মতোই ৬০৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।  কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ২০৪০ টাকা। শীতকালীন সবজির পাশাপাশি বাজারে এসেছে পালংশাক। বাজার ভেদে এক আঁটি পালং শাক বিক্রি হচ্ছে ১০২০ টাকা। এক আঁটি লাল শাক বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকা।  লাউ শাক পাওয়া যাচ্ছে ২০৩০ টাকায়। ১০২০ টাকা আঁটি পাওয়া যাচ্ছে পুঁইশাক। আঁটি প্রতি মূলাশাক পাওয়া যাচ্ছে থেকে ১০ টাকায়

ক্রেতারা জানান, সবজির দাম কম থাকলে বাজার করতে আনন্দ লাগে। এখন বাজার শীতের সবজিতে ভরপুর। তবে আগামী নির্বাচনকে ঘিরে কি হবে কে জানে। প্রতিবছর নির্বাচন এলেই রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতায় সব পণ্যের দাম বেড়ে যায়। এবার কি হবে সে চিন্তায় এখন থেকে ভয় হচ্ছে

সূত্রাপুর বাজারের সবজিবিক্রেতা প্রশান্ত সাহা বাংলানিউজকে জানান, গত সপ্তাহ থেকে বাজারে সব ধরনের সবজির দাম কমচ্ছে। সরবরাহের হেরফের হলে দুই তিন টাকা বাড়ে কমে। এখন সবজির দাম কম থাকলে সামনে নির্বাচন সে সময় পরিস্থিতি কেমন হয় কে জানে। গত কয়েক বছর নির্বাচনের পরে আগে সব সবজির দাম কারণ ছাড়াই বেড়েছিল। এবছর এখন পর্যন্ত ভাল আছে

তিনি আরও বলেন, সবজির দাম কম থাকায় ক্রেতাদের মনে স্বস্তি আছে। তবে নির্বাচন নিয়ে তারাও চিন্তিত। দাম বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির। গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে টাকা বেড়ে ১৩০১৪৫ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। এছাড়া লেয়ারেরর দাম আগের মতো ১৪০ টাকা কেজি, কক প্রতি পিস আকার ভেদে ১২০২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অপরিবর্তিত রয়েছে গরু খাসির মাংসের দাম। গরুর মাংস ৪৮০৫০০ টাকা এবং খাসির মাংস ৬৫০৭৫০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। এছাড়া ব্রয়লার মুরগির ডিম প্রতি ডজন বিক্রি হচ্ছে ৮৫৯০ টাকা, হাঁসের ডিম ১৪০ টাকা, কক মুরগির ডিম ১৫০টাকা, দেশি মুরগির দাম ১৬০টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে

বিষয়ে মুরগিবিক্রেতা জামালউদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, শীত আসায় মুরগির উৎপাদন কমেছে। তাই বাজারে সরবরাহ কম সেজন্য দাম বেড়েছে। আগামীতে আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিন

এদিকে মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারগুলোতে কমেছে রূপালি ইলিশের সরবরাহ। ফলে গত সপ্তাহের তুলনায় দাম বেড়েছে। প্রতি হালি ছোট ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৮০০ টাকা। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ১২০০ টাকা। মাঝারি সাইজের ইলিশ হালি ২৫০০৩০০০টাকা। এককেজি সাইজের বড় ইলিশ হালিতে বিক্রি হচ্ছে ৪০০০৪৫০০ টাকা দরে। এছাড়া গত সপ্তাহের মতোই প্রকার বাজারভেদে রুই মাছ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫০৪০০ টাকায়, পাবদা মাছ ৫০০৬০০ টাকা, দেশি শিং ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা, চাষের ৩০০ থেকে ৪০০, মাগুর দেশি এক হাজার, চাষের ৪০০ থেকে ৫০০, চিংড়ি ৬০০ থেকে ৮০০, আইড় ৬০০ থেকে ৭০০, গোলসা ৪৫০ থেকে ৫০০, চিতল ৭০০ থেকে ৮০০, পোয়ামাছ ৩০০ থেকে ৫০০, বাইলা ৭০০ থেকে ৮০০, চাষের কৈ ২৫০ থেকে ৩০০, তেলাপিয়া ১২০১৬০, পাঙ্গাস ১২০১৫০ সরপুঁটি ১৫০২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে

মাছবিক্রেতা কামার মিয়া জানান, নদীতে জাটকা সংরক্ষণ অভিযান চলছে তাই জেলেরা মাছ ধরতে যাচ্ছেন কম। ফলে বাজারগুলোতে ইলিশ সরবরাহ কমেছে। অভিযান আগামী কয়েক মাস চলবে সে পর্যন্ত দাম কমবে না বলেও জানান তিনি

মুদিপণ্যের দামও অপরিবর্তিত রয়েছে। বাজারে প্রতি কেজি খোলা আটা বিক্রি হচ্ছে ২৬ টাকা, প্যাকেট ৩২ টাকা, চিনি ৫০, ডাল ৪০ থেকে ৯০, তেল সোয়াবিন ৫লিটার ৪৭০ থেকে ৪৯০, সরিষার তেল কেজি ১৩০ টাকা, লবণ ৩০ থেকে ৩৫, পোলাউর চাল ৯০ থেকে ৯৫। নাজির ৬০, মিনিকেট ৫৬, স্বর্ণা ৪২, ২৮ নম্বর ৪৫ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। এছাড়া দেশি পেঁয়াজ ৩৫৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৫৩০ টাকা কেজি দরে। রসুন ৭০ থেকে ৮০, আদা ৯০ থেকে ১১০ টাকা প্রতি কেজি

মুদিপণ্যের দামও অপরিবর্তিত রয়েছে। বাজারে প্রতিকেজি খোলা আটা বিক্রি হচ্ছে ২৬ টাকা, প্যাকেট ৩২ টাকা, চিনি ৫০, ডাল ৪০ থেকে ৯০, তেল সোয়াবিন লিটার ৪৭০ থেকে ৪৯০, সরিষার তেল কেজি ১৩০ টাকা, লবণ ৩০ থেকে ৩৫, পোলাউর চাল ৯০ থেকে ৯৫। নাজির ৬০, মিনিকেট ৫৬, স্বর্ণা ৪২, ২৮ নম্বর ৪৫ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

সামাজিক মিডিয়ায় শেয়ার করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর
Developer By Zorex Zira

Designed by: Sylhet Host BD